বাফুফের আসন্ন নির্বাচন প্রক্রিয়া সংশোধন করতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে ফিফা। প্রায় ৫৫ পৃষ্ঠার সেই চিঠি এসেছে একাত্তরের হাতে। যেখানে ভোটাধিকার আছে এমন কাউন্সিলর সংখ্যা কমানোর কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অতীতের নানা অনিয়মের প্রেক্ষিতে এবার নির্বাচন সুষ্ঠু করতে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইনও দিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
১৪ এপ্রিল থেকে ১ অক্টোবর। বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিফা কর্তৃক নিষিদ্ধের পর কেটে গেছে ১৭০ দিন। কেমন চলছে বাফুফে?
বাফুফের নিজস্ব তদন্ত কমিটি সোহাগের দুর্নীতি তদন্ত করেছে। সেই রিপোর্ট দুই মাস পেরিয়ে গেলেও প্রকাশ করেনি! লুকোছাপা। ফুটবল ফেডারেশন এখন নীরব। ফিফাও নজরদারি বাড়িয়েছে বাফুফেতে। প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে। এবার বাফুফের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সংশোধন আনতে ফেডারেশনকে গাইডলাইন দিয়ে চিঠি দিলো ফিফা।
আগামী বছর অক্টোবরে আয়োজিত হবার কথা রয়েছে বাফুফের বহুল আলোচিত নির্বাচন। টানা পঞ্চমবারের মতো সভাপতির আসনে বসতে যাচ্ছে কাজী সালাউদ্দিন? নাকি ঘটছে ১৫ বছরের মসনদের সমাপ্তি? বাফুফের নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত আছে বাজারে।
এবার সেই লাগাম টেনে ধরতে চাচ্ছে ফিফা। বাফুফের বর্তমান নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কাটা ছেড়া করে। একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন ও কাঠামো প্রেরণ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। প্রায় ৫৫ পৃষ্ঠার সেই চিঠি এসেছে খেলাযোগের হাতে। যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে বাফুফের কাউন্সিলর সংখ্যা কমানোর কথা।
ক্লাব, একাডেমী, জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে বাফুফের বর্তমান কাউন্সিলর সংখ্যা ১৩৯। যাদের ভোটে নির্বাচিত হয় প্রার্থীরা। এত বেশি কাউন্সিলর নেই বাংলাদেশে চেয়ে বিশাল বড় ভারতেও। সংখ্যার দিক থেকে যা হার মানায় অনেক ইউরোপিয়ান কান্ট্রিকে। এছাড়া রয়েছে ২১টি স্ট্যান্ডিং কমিটি। যে দেশের ফুটবলে রাহুর দশা। সাংগঠনিক কাঠামো দুর্বল। তাদের এত কাউন্সিলর কি দরকার তা বোধগম্য হচ্ছে না ফিফারও। তাই কমিয়ে আনার জন্য করেছে সুপারিশ। তবে হাঁড়ির খবর উল্টো নাকি আরও কাউন্সিলর বাড়ানোর পায়তারা করছে বাফুফে!
শুধু তাই নয় নিয়মিত এজিএম করার তাগিদ দিয়েছে ফিফা। সবশেষ গেলো বছর ২৯ অক্টোবর এজিএম করেছিলো বাফুফে। শিগগিরই এজিএম করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। দুদকের তদন্তে রয়েছে সালাম মূর্শেদী, মাহফুজা আক্তার কিরণসহ বেশ কজন শীর্ষ কর্তার দুর্নীতি।