চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও।
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩৮৯ জন। আক্রান্তের সংখ্যা পূবের দিনের তুলনায় প্রায় ৪০ হাজার বেশি। এসময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৮৫০ জন, যা আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ২০০।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ কোটি ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৯৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৫ জনের।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, ব্রাজিল, ইতালি, হাঙ্গেরি, রাশিয়া ও মেক্সিকো।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৩ জন এবং মারা গেছেন ৩১৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ ১৯ হাজার ২৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৭ হাজার ৫৯৪ জন মারা গেছেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে ৩৫৬ জনের এবং শনাক্ত হয়েছে ৮০ হাজার ৪৫৮ জনের। একই সময়ে ব্রাজিলে আক্রান্ত ১৮ হাজার ২৭৭ জন এবং মৃত ১৯০ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ২৫ হাজার ৩৮৮ জন এবং মৃত্যু ১১২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় তাইওয়ানে আক্রান্ত ২৮ হাজার ৫৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় অস্ট্রেলিয়ায় মৃত ৪৮ জন এবং আক্রান্ত ১৫ হাজার ৯৪৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ হাজার ২৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। একই সময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৬২ জন এবং ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিউজিল্যান্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে, একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।