আমরা সুখে আছি, বেহেস্তে আছি’ মন্তব্যের পর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
একদিন বাদে শনিবার এ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকরা বিষয়টি নিয়ে ‘টুইস্ট করার চেষ্টা’ করেছেন এবং ‘এক্কেবারে উল্টা’ লিখেছেন- এমন অভিযোগের সুরও ছিল মন্ত্রীর গলায়।
শুক্রবার সিলেটে এক অনুষ্ঠান শেষে মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, “বৈশ্বিক মন্দায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেস্তে আছে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে; একটি পক্ষ প্যানিক ছড়ানোর জন্য এমন কথা বলে। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। বাংলাদেশ অনেক ভাল আছে।”
সংবাদমাধ্যমে এই বক্তব্য প্রচারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। কেউ কেউ ব্যঙ্গও করেন।
এর মধ্যেই শনিবার দুপুরে সিলেটে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তখন সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করতে গেলে তিনি ‘বেহেস্তে আছি’ প্রসঙ্গটির অবতারণা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “(বেহেস্তের কথা) আমি বলেছি, কম্পারেটিভ টু আদার কান্ট্রি (অন্য দেশের তুলনায়)….আর আপনারা সব জায়গায় বেহেস্ত বলেছেন…মানে টুইস্ট করার চেষ্টা…বলেন নাই যে, আমাদের মূল্যস্ফীতি অন্য দেশের তুলনায় কম…”
তখন উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, ‘আপনি গতকাল যা বলেছেন, তাই অন-এয়ার হয়েছে।”
এরপর মোমেন বলেন, “মুদ্রাস্ফীতি ইংল্যান্ডে ১২ ভাগ, টার্কিতে ৬৭ ভাগ, পাকিস্তানে ৩৭ ভাগ, শ্রীলঙ্কায় ১৫০ ভাগ আর আমরা সাত ভাগ…সেই দিক দিয়ে আমরা ভালো আছি।”
“আমি বলেছি, অন্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। এবং তাদের তুলনায় আমরা বেহেস্তে আছি, এই কথা বলেছিলাম। কিন্তু আপনারা (সাংবাদিকরা) এক্কেবারে উল্টা! যাই হোক।’’
দুপুরে সিলেট জেলা পরিষদ আয়োজিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন মোমেন। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগে যৌথ নদী কমিশন (জেআরসি) সভায় ছয়টি নদীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এবারের প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির পাশাপাশি নৌ-পথে যোগাযোগ স্থাপনে আলোচনা হতে পারে।
“এ ছাড়া উভয় দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারতের আবহাওয়ার তথ্য আদান-প্রদান করা এবং তাদের দেশে পানি নিয়ন্ত্রণের ড্যামগুলো যাতে আমাদের ক্ষতিসাধন না করে সেজন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
এ সময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।