বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও জাল ভিসাকে আসল বলে চালিয়ে দেয়ার অভিযোগে জাবেদ হোসেন রকি ও তার অন্যতম সহযোগী আবির শুভ নামের দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ব্যার-৩। ৮ আগস্ট রাজধানীর পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস।
তিনি বলেন, তাদের ট্রাভেল এজেন্সির কোন লাইসেন্স নেই। কিন্তু তিনি জাবেদ ট্রাভেল এজেন্সি নামে তার অফিস পরিচালনা করে আসছেন। গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য তিনি বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে নারী কর্মীদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাঠান। গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জনের পর পুরুষ কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর জন্য পাসপোর্ট ও টাকা সংগ্রহ করে প্রতারণামূলকভাবে জনপ্রতি ৩ হতে ৪ লাখ টাকা করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি সিপিইউ, ৫টি পাসপোর্ট, ২০টি খালি স্ট্যাম্প, ১০টি ট্রেনিং সার্টিফিকেট, ভুয়া ওমান কনস্যুলেটর ও দূতাবাসের সিল ২টি, ১টি মোবাইল ফোন, ১ বক্স ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া ভিসার ফটোকপি প্রায় শতাধিক, ৫০টি কোভিড-১৯ এর ভুয়া রিপোর্ট এবং ৩টি চেকের পাতা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মানবপাচার ও প্রতারক চক্রের সদস্য জাবেদ হোসেনকে তার মা সেলিনা বেগম দেশের বাইরে থেকে প্রতারণায় সহযোগিতা করে আসছেন।
এছাড়া চক্রের অন্যতম সহযোগী আবির ২০১৮ সালে এয়ারপোর্ট ক্লিনার হিসেবে ওমান যান। ২০১৯ সালে দেশে ফিরে খালাত ভাই জাবেদের সঙ্গে মানবপাচারকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
বেকার তরুণ-তরুণীদের বিভিন্ন লোভনীয় প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া ভিসা এবং ভুয়া টিকিট ভুক্তভোগীদের হাতে ধরিয়ে দেয় চক্রটি।
ভুক্তভোগীরা ভিসা এবং টিকেট নিয়ে বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের ভিসা এবং টিকেট জাল হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়।