বুধবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮ (১-২), ৪১ ও ৪৬ লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। মামলায় বাদী হয়েছেন বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা। সাক্ষী করা হয়েছে তদন্ত কমিটিতে কাজ করা অপর তিন সদস্য- আব্দুল্লাহ আস সাদিক, অসীম মল্লিক ও রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাসকে।
এর আগে সিনেমাটির বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। আইন লঙ্ঘন হওয়ায় ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের প্রদর্শন বন্ধ চায় পরিবেশবাদী ৩৩টি সংগঠন। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমা হলে গিয়ে হাওয়া দেখে আসে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে দুপুর ২টার শো-তে সিনেমাটি দেখেন তারা।
শো শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বন অধিদফতরের ওয়াইল্ডলাইফ ইন্সপেক্টর অসীম মল্লিক বলেন, ‘সিনেমাটি আমরা দেখেছি। এখানে একটি শালিক পাখি দেখানো হয়েছে। কিন্তু যেটা খাওয়া হয়েছে সেটি আসলে শালিক পাখির মাংস কি না, তার তদন্ত প্রতিবেদন অধিদফতরে পাঠাব। এটি সত্যিকারের পাখি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইন এখানে লঙ্ঘন হয়েছে।’
সিনেমাটির অনুমতি দিয়ে সেন্সর বোর্ড বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ভঙ্গ করেছেন কি না–এমন প্রশ্নের উত্তরে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, সেন্সর বোর্ড কী করেছে সেটা আমাদের কর্তৃপক্ষ বুঝবে। আমরা সিনেমাটি দেখে আমাদের কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করব। তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন করায় ১৫ কোটি টাকার মামলা হয়েছে নাট্যনির্মাতা অনন্য ইমনের বিরুদ্ধে। ‘শেষ গল্পটা তুমিই’ নাটকের একটি দৃশ্যে খাঁচাবন্দি টিয়া পাখি দেখানোয় তার বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের হয়।